Header Ads Widget

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পিতামাতা আমিনা বিনতে ওয়াহব ও আবদুল্লাহর বিয়ে এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের ঘটনা।

 হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পিতামাতা আমিনা বিনতে ওয়াহব ও আবদুল্লাহর বিয়ে এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মের ঘটনা। 




আবদুল মুত্তালিব তাকে নিয়ে ওয়াহব ইবন আবদ মানাফ ইবন যুহরা ইবন কিলাব ইবন মুররা ইন কা'ব ইবন লুআই ইবন গালিব ইবন ফিহর-এর কাছে পেলেন। ইনি বংশ মর্যাদায় বনু যুহরা গােত্রের প্রধান ছিলেন। 

এই ওয়াহুবের কন্যা আমিনার সাথে আবদুল্লাহর বিয়ে সম্পন্ন হল । আমিনাও সমগ্র কুরায়শ বংশের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন ও সম্ভ্রান্ত মহিলা ছিলেন। 


আমিনা বিনতে ওয়াহুবের মাতৃকূলের পরিচয়

 আবদুল উযযা ইবন উসমান ইবন আবদুদ্দার ইন কুসাই ইবন কিলাব ইবন মুররা ইব্‌ন কা'ব ইবুন লুআই ইবন গালিব ইকন ফির। আর বরকার।মাতার নাম উম্মে হাবীব বিনত আসাদ ইবন আবদুল উ্যা ইন কুসাই ইন কিলাব ইবন মুররা ইবন কা'ব ইবন লুআই ইবুন গালিব ইব্‌ন ফিহর। উম্মে হাবীরের মাতার নাম বাররা বিত আওফ ইবন উবায়দ ইবন উয়াইজ ইবন আদী ইবন কা'ব ইবুন লুআই ইবন গালিব ইবন ফিহর।

বিয়ে সম্পন্ন হবার পর আমিনার সাথে উপরোক্ত রুকাইয়া বিনতে নাওফলের কথােপকথন কথিত আছে যে, আবদুল্লাহ আমিনার নিকট নিজের স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তরের পরই তার সাথে মিলিত হন এবং প্রথম মিলনেই রাসূল (সা) আমিনার গর্ভে আসেন। 


তারপর আবদুল্লাহ্ বাইরে যান এবং রুকাইয়া বিন্‌ত নাওফলের সাথে সাক্ষাত করে দেখেন, তার মধ্যে আর আগের মনােলাব নেই। আবদুল্লাহ্ বলেন : “ব্যাপার কি, এখন যে তুমি আমাকে গতকালকের মত প্রস্তাব দিচ্ছ না?"

 রুকাইয়া বলল : “এখন আর তােমাকে দিয়ে আমার প্রয়ােজন নেই। কাল তােমার ভেতরে যে জ্যোতি ছিল, আজ তা নেই।" রুকাইয়া স্বীয় ভাই ওয়ারাকার নিকট শুনেছিল যে, এই জাতির মধ্যে একজন নবীর আগমন আসন্ন। 

ওয়ারাকা খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং ঐশী গ্রন্থে পারদর্শী ছিলেন। ইবন ইসহাক বলেন : আবু ইসহাক ইবন ইয়াসারের কাছ থেকে আমি লােকমুখে শুনেছি যে, আমিনা বিন্‌তে ওয়াহবের পাশাপাশি আর একজন স্ত্রীও আবদুল্লাহ্র ছিল এবং তিনি সেই স্ত্রীর কাছেই প্রথম মিলিত হতে গিয়েছিলেন।


 কিন্তু সেদিন তিনি কাদামাটি সংক্রান্ত কাজ করায় ভার গায়ে কিছু কাদামাটি লেগেছিল। তাই ঐ স্ত্রী তাঁর ডাকে তুরিত সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়। একে আবদুল্লাহ উযু ও গােসল করে পরিচ্ছন্ন হয়ে আসেন এবং এবার আমিনার কাছে যান। 

এ সময় পূর্বোক্ত স্ত্রী তাকে ডাকলেও তিনি তার ডাক উপেক্ষা করেন এবং আমিনার সাথে মিলিত হন। সেই মিলনের ফলে মুহাম্মদ (সা) গর্ভে আসেন। তারপর পূর্বোক্ত স্ত্রীর কাছে গেলে সে মিলিত হতে অসন্মতি জানায় এবং বলে ; ইতিপূর্বে যখন তুমি আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলে, তখন তােমার দুই চোখের মাথানে একটা উজ্জ্বল জ্যোতি ঝিকমিক করছিল। 

কিন্তু আমিনার সাথে মিলিত হবার পর তোমার কপালে সেই জ্যোতি আর নেই। ইবুন ইসহাক-এর মধ্যে এই মহিলা আবদুল্লাহর কপালে ঘােড়ার কপালের সাদা চিহ্নের মত একটা সাদা চিহ্ন দেখেছিল, যা আমিনার সাথে মিলিত হবার পর অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল ।

যাহােক, শেষ পর্যন্ত আমিনার গর্ভেই পিতামাতা উভয় দিকের বংশীয় আভিজাত্য ও গৌরব নিয়ে রাসূল (সা) জন্মগ্রহণ করেছিলেন।


রাসূল (সা)-এর আম্মাজান আমিনা বিনত ওয়াহব বলতেন: রাসূল (সা)-কে গর্ভে আসার পর আমি বিভিন্ন ধরনের  স্বপ্ন দেখতে শুরু  করি। একবার স্বপ্ন আমাকে কে যেন বলল ; মানবজাতির মহানায়ককে গর্ভে ধারণ করেছ। 

তিনি যখন ভূমিষ্ঠ হবেন, তখন তুমি বলৰে ; আমি আমার এই সন্তানকে সকল হিংসুকের অনিষ্ট থেকে এক আল্লাহর আশ্রয়ে সমর্পণ করছি। 

তারপর তার নাম রেখাে মুহাম্মদ ? তিনি গর্ভে থাকাকালে আমি আরাে স্বপ্ন দেখেন যে, তার দেহের ভেতর থেকে এমন একটা আলোকরশ্মি বের হলো, যার জন্য তিনি সিরীয় ভূখণ্ডের বুসরার প্রাসাদসমূহ পর্যন্ত দেখতে পেলেন।

আবদুল্লাহ তিরােধান তিনি মাতৃগর্ভে থাকতেই তার পিতা আবদুল্লাহ ইন্তিকাল করেন।


Post a Comment

0 Comments