Header Ads Widget

HSC 2022 12th Week Assignment Answer - bd educational

HSC 2022 12th Week Assignment Answer - bd educational

HSC 2022 Assignment Answer

ব্যবসায় পরিবেশের ধারণা উত্তর: 


আমরা জানি যে, একটি দেশের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসমূহ যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্য দিয়ে গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত। হয় তাকে ব্যবসায় পরিবেশ বলা হয়। ব্যবসায়িক পরিবেশ হল ব্যবসায় সংগঠন পরিবেষ্টিত সকল অবস্থা, উপাদান ও শক্তির সমষ্টি যা উক্ত ব্যবসায় বা তার। 


ব্যবস্থাপকের কার্যকারিতা বা সফলতাকেই প্রভাবিত করে। সাধারণত রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, সরকারের নতুন নতুন নীতি ও আইন, কর ব্যবস্থা ও অবকাঠামাে, শ্রমিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিক্ষার উন্নতি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদি উপাদান ব্যবসায়িক কার্যক্রম কে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। 
 
ব্যবসায় পরিবেশ অনুকূল বা প্রতিকূল হতে পারে। কোন স্থানের ব্যবসায় উন্নতি নির্ভর করে ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর। পরিবেশ ব্যবসায় বা শিল্প স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।


• ব্যবসায় পরিবেশের উপাদান উত্তর:



ব্যবসায় পরিবেশের উপাদন সমূহ:


1. প্রাকৃতিক পরিবেশ


2. অর্থনৈতিক পরিবেশ


3. সামাজিক পরিবেশ


4. রাজনৈতিক পরিবেশ


5. প্রযুক্তিগত পরিবেশ


6. আইনগত পরিবেশ


HSC 2022 12th Week Assignment Assignment Answer
HSC 2022 12th Week Assignment Assignment Answer - bd educational


• ব্যবসায় পরিবেশের উপর সমস্যা সৃষ্টিকারী উপাদান চিহ্নিতকরণ ও ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নের সমস্যা সমাধানের উপায় 


উত্তর: 

একটা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পরিবেশ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণে পরিবেশের বিভিন্ন ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে এক রকম ব্যবসা। পরিবেশ গুলাে যদি উৎপাদনের জন্য বেশি সহায়ক হয় তাহলে নতুন নতুন ব্যবসা বাণিজ্য এবং শিল্প সহজে স্থাপন করা সম্ভব হয়। ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরিবেশের প্রভাব আলােচনা করা হলঃ 

১। স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থাঃ রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে দেশের যে কোন প্রান্ত হতে উৎপাদনের জন্য কাচামাল সহজেই সংগ্রহ করা যায়। এজন্য একজন ব্যবসায়ী হিসেবে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশকে বেশি বিবেচনায় রাখবেন। রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে পরিবহনের ক্ষেত্রে জটিলতা পােহাতে হয় না। 

২। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারঃ প্রযুক্তিগত পরিবেশের পর্যাপ্ত পরিমান সুবিধা থাকলে উৎপাদন কার্যক্রম দ্রুত এবং অপচয় রােধ করার মাধ্যমে করা সম্ভব। যে সমস্ত স্থানে উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়, সেখানে উৎপাদন এবং উৎপাদনশীলতার হার বেশি থাকে। 


আধুনিক প্রযুক্তি উৎপাদন ব্যবস্থা কে অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছে। যেটা মানুষ করতে অনেক বেশি সময় লাগতাে, সেটা অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব হচ্ছে। তাই ব্যবসায়ীক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যবসায় পরিচালক সব সময় আধুনিক প্রযুক্তিতে জোরদার দান করবে। 


৩। জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থাঃ একটা সময় বা এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান বা অর্থনৈতিক অবস্থা যদি ভালাে হয় তাহলে ঐ সমস্ত স্থানে খুব সহজে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা যায়। 

যদি মানুষজন তাদের উন্নত জীবনযাত্রা নিয়ে সচেতন, ওই ক্ষেত্রে জনগণ তাদের চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ করবে। এদিকে ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন করতে পারবে এবং এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যেতে পারবে।



৪) আইনি জটিলতাঃ আইনের জটিলতা বেশি থাকলে সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়না। কারণ সরকার যদি কোন পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাহলে ওই দেশে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। 

তাই ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীকে আইনগত দিক সমূহ বিবেচনায় রাখতে হবে। 


৫) পর্যাপ্ত কাঁচামালের সহজলভ্যতাঃ পর্যাপ্ত শ্রমিক এবং উৎপাদনের কাঁচামাল সহজলভ্য হলে উৎপাদন কার্যক্রমও সহজ হবে। কারণ উৎপাদনের কাঁচামাল যদি খুব সহজে সংগ্রহ করা যায় তাহলে উৎপাদন খরচ কমে যাবে। 

ব্যবসায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যবসার জন্য কাঁচামালের উৎস এবং সহজলভ্যতার বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কারণ পরিবেশের উপাদানগুলাে আমাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম কে অনেক বেশি প্রভাবিত করে।

Post a Comment

0 Comments